১৪২৭ পয়লা বৈশাখের প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
১৪২৭ সন, নববর্ষের পয়লা বৈশাখের প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে। আজকে মহামারী করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় গৃহবন্দী থেকেই এক জোট হয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার শুভ দিনে সংকল্পো নেন।
পয়লা বৈশাখ বাংলার বছরের প্রথম দিন, তথা নববর্ষ। এই দিনটি সকল বাঙালী জাতির ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন। দিনটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এমনকি বাংলাদেশে ও নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়। ত্রিপুরায় বসবাসকারী বাঙালিরাও এই উৎসবে অংশ নিয়ে থাকেন। সে হিসেবে এটি বাঙালিদের একটি সর্বজনীন লোকউৎসব হিসাবে বিবেচিত।
নতুনখাতা বাংলা সালের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। বছরের প্রথম দিনে ব্যবসায়ীরা তাদের দেনা-পাওনার হিসাব সমন্বয় করে এদিন হিসাবের নতুন খাতা খোলেন। সেই জন্য খদ্দেরদের বিনীতভাবে পাওনা শোধ করার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। শুভ নতুনখাতা কার্ড'-এর মাধ্যমে ঐ বিশেষ দিনে দোকানে আসার নিমন্ত্রণ জানানো হয়। এই উপলক্ষে নববর্ষের দিন ব্যবসায়ীরা তাদের খদ্দেরদের মুখোমিষ্টি করান। খদ্দেররাও তাদের সামর্থ অনুযায়ী পুরোনো দেনা শোধ করে দেন। আগেকার দিনে ব্যবসায়ীরা একটি মাত্র মোটা খাতায় তাদের যাবতীয় হিসাব লিখে রাখতেন। এই খাতাটি বৈশাখ তথা নববর্ষের প্রথম দিনে নতুন করে হালনাগাদ করা হতো। হিসাবের খাতা হাল নাগাদ করা থেকে "হালখাতা"-র উদ্ভব। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ও বাংলাদেশেও বিভিন্ন জেলায় ছোট বড় যেকোনো দোকানেই এই উৎসবটি পালন করা হয়ে থাকে।
Comments
Post a Comment